স্মিতা সিকদারঃ ঘুরতে ভালোবাসেন? আর হাতে সময় মাত্র ৭ দিন। চিন্তার কোন কারণ নেই, আজকের এই প্রতিবেদন আপনাকে এমন এক জায়গার হদিশ দেবে, যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হতে বাধ্য।
রোজকারের জীবনের একঘেয়েমিতা থেকে ছুটি নিয়ে অনেকেরই মন করে কোথাও থেকে একটু ঘুরে আসতে। কিন্তু ওই যে অফিস সে কথা শোনে না। আর যদিও বা ছুটি পাওয়া যায়, তখন কোথায় কোথায় যাব কোথায় কোথায় যাব করতে করতেই, অর্ধেক সময় পার হয়ে যায়। তাই আজ জেনে নিন এমন একটি জায়গার বিষয়ে, যেখানে আপনি ছুটি পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারবেন।
পাহাড়, জলপ্রপাত, জঙ্গল, অভয়ারণ্য সব কিছুর স্বাদই যদি একসঙ্গে পেতে চান, তাহলে আপনাকে যেতে হবে ঝাড়খন্ডে। রুক্ষ হলেও, নির্মল সৌন্দর্য্যের মেলবন্ধন এবং আধুনিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্য যেমন রয়েছে, তেমনই আবার সমতলভূমি, মালভূমি ও পার্বত্য ভূমি রয়েছে ঝাড়খণ্ডের সবথেকে জনপ্রিয় স্থান রাঁচিতে।
রাঁচির শিবমন্দির থেকে শুরু করে কেচকি অভয়ারণ্য। শাল, পিয়াল, মহুয়ায় ঘেরা এই অভয়ারণ্যে হাঁটতে হাঁটতে হাতি থেকে শুরু করে ১৭৪ প্রজাতির পাখির দেখাও পেতে পারেন আপনি। চাইলেন, এখানে গ্রামে গিয়ে আদিবাসীদের কাছ থেকে হাতে উল্কি আঁকানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাতে তৈরি জিনিসও কিনতে পারেন।
আবার এখানেই রয়েছে সতীর ৫১ পীঠের এক পীঠ মা ছিন্নমস্তার মন্দির। চাইলে হাজারিবাগে গিয়ে নৌকাবিহারও করতে পারেন। এছাড়াও সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে পাহাড়, নদী, সমতলের স্থান নেতারহাটেও যেতে পারেন। তাই হাতে কদিনের ছুটি পেলে পরিবার পরিজন নিয়ে একবার ঘুরেই আসতে পারেন ঝাড়খন্ডের রাঁচি থেকে।