স্মিতা সিকদারঃ নিজেরা তো খেয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু জানেন কি, এমন কিছু সবজি আছে, যা একেবারেই নিষিদ্ধ জগন্নাথ দেবের ভোগে। অর্থাৎ জগন্নাথ দেব সেইসব সবজি একেবারেই পছন্দ করেন না। তাই পুরীর মন্দিরে ভগবানের ভোগে কখনই দেওয়া হয় না এই সমস্ত সবজি। প্রথম থেকেই জগন্নাথ দেবের রান্নায় পুরোপুরি ‘নিষিদ্ধ’ এইসব সবজি।
ছোট থেকে আমরা সকলেই শুনে থাকি শাকসবজিতে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই বেশি করে সবজি খাওয়া উচিত। পাশাপাশি সবুজ খেলে, শরীর মন সবকিছুই ভালো থাকে। তাই তো নিরামিষাশী মানুষেরা বেশি করে এই শাক সবজি খেয়েই থাকেন। কোনরকম আমিষ খাবার খান না। তবে আবার এই নিরামিষ খাবারের মধ্যেও এমন কিছু সবজি আছে, যা অনেকেই খান না। সেরকমই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও এমন কিছু সবজি নিষিদ্ধ রয়েছে, যা জগন্নাথ দেবের ভোগে কখনই দেওয়া হয় না।
জানিয়ে রাখি, জগন্নাথ দেবকে দিনে মোট ৬ বার ভোগ দেওয়া হয়। সারাদিনে এই পরিমাণ রান্না হলেও, কিছু কিছু বিশেষ সবজি কিন্তু কখনই দেওয়া হয় না জগন্নাথ দেবকে। এই মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জগন্নাথ দেবের ভোগে কখনই আলু, ঢ্যাঁড়শ, ক্যাপসিকাম, টমেটো, রসুন, পেঁয়াজ, উচ্ছে, বাধাকপি, বিনস, ফুলকপি, লঙ্কা দেওয়া হয় না। ভুল করেও জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদে এইসব সবজি দেওয়া হয় না। তা সত্ত্বেও বাকি সবজি দিয়েই খুব সুন্দরভাবে ৫৬ পদ ভোগ দেওয়া হয় জগন্নাথ দেবকে।
জানা যায়, এই মন্দির বহু বছরের পুরনো। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ সবজি ষোলোশ খ্রিস্টাব্দ বা তারপর পাওয়া যেত। অর্থাৎ মন্দির সৃষ্টির প্রথম সময়ে এইসব সবজি যেহেতু পাওয়া যেত না, তাই জগন্নাথ দেবের প্রসাদেও এই সমস্ত সবজি দেওয়া হয় না। আর প্রথম থেকে সেই নিয়ম এখনও মেনে আসছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। নিয়মে কোন পরিবর্তন করা হয়নি। তাই এখনও জগন্নাথ দেবের প্রসাদে এইসব সবজি আজও দেওয়া হয় না। এইসব সবজি ছাড়াই জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না করা হয়।