ব্রিটেনে পার্লামেন্ট নির্বাচনের শেষ পর্বে নতুন বিতর্ক। ‘সৌজন্যে’ লেবার পার্টির প্রধান কিয়ের স্টার্মার। ‘অভিবাসন বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত এই নেতা গত সপ্তাহে ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে প্রচারের শেষ পর্বে সে দেশের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এলাকাগুলিতে দেখা গিয়ে অসন্তোষ।
ছাত্রজীবনে ‘সমাজতন্ত্রের অনুসারী’ হিসাবে পরিচিত স্টার্মার সক্রিয় রাজনীতি পা দেওয়ার পরে অনেকটাই উল্টো পথে হেঁটেছেন। সম্প্রতি গাজ়া ভূখণ্ডে ইজ়রায়েল সেনার হানাদারির প্রসঙ্গে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকারের পক্ষ নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। লেবার পার্টির বেশ কিছু মুসলিম নেতা তাতে প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়েছিলেন। এ বার একটি সাক্ষাৎকারে স্টার্মারের ‘বাংলাদেশি অভিবাসন বিরোধী’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছেড়েছেন লেবার পার্টির নেত্রী সাবিনা ইসলাম। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাবিনা টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার ডেপুটি লিডার ও কাউন্সিলর ছিলেন। পরিস্থিতি প্রতিকূল বুঝে অবশ্য স্টার্মার বলেছেন, ‘‘আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।’’
চলতি সপ্তাহে ‘দ্য সান’ আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে স্টার্মার বলেছিলেন, ‘‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যে সব মানুষ আসছেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কারণ, তাঁদের বিষয়টি নজরেই রাখছে না প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সরকার।’’ কনজ়ারভেটিভ পার্টির শাসনে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর হার ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘ক্ষমতায় এলে কী ভাবে অবৈধ অভিবাসীদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো যায়, সে বিষয়ে আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনা আছে।’’ তাঁর ওই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ইতিমধ্যেই লেবার পার্টিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।